-অমাবস্যার চাঁদ (পর্ব-৬)
-আরভান শান আরাফ
গ্রামের নাম গগনপুর। সবুজে ঘেরা, নদী তীরের গ্রাম। গ্রামের উত্তরপাড়ে আমাদের বাড়ি৷ এই গ্রামে আমার শৈশব কেটেছে৷আজ অনেক বছর পর গ্রামে এসেছি৷ এই গ্রামে আমার কোন সুখের স্মৃতি নেই৷ যা আছে সব ভয়াবহ স্মৃতি৷ বাবার ঘর ছাড়া,পাগলি মায়ের আত্মহত্যা, দাদীমার মৃত্যু।হৃদয় এসব বিভীষিকার মত গেঁথে আছে৷
সন্ধ্যার দিকে গ্রামে পা ফেলতেই বুক চিনচিন করছিল। বড়কার শরীর খারাপের খবর পেয়ে এসেছি। না এসে উপায় ছিল না৷ এর আগে অসংখ্যবার মানা করে দিয়েছিলাম গ্রামে আসায় কিন্তু এবার মানা করতে পারিনি।বাবা চলে যাওয়ার পর বড়কা প্রবাসে চলে যান৷ তিনি না থাকলে হয়তো আমাদের পরিবারটা আরো ভেঙ্গে যেত। দাদার অবর্তমানে তিনি ই পরিবারের হাল ধরেন৷ আমাদের এত প্রতাপ, প্রতিপত্তি সম্মান বড়কা ই ধরে রেখেছেন। আমার চির সংসার বিমুখ ছোটকাকে দায়িত্ব বুঝিয়েছেন৷ আজকে বড়কার অসুস্থতার খবর শুনে তাই স্থির থাকতে পারিনি।
চেম্বার থেকে আর বাসায় যায়নি৷ গাড়ি নিয়ে সোজা বাড়িতে৷ গ্রাম আর আগের মত নেই৷ মেঠো রাস্তায় পিচ পাথরের ঢালাই। বাজার আগের চেয়ে বড় হয়েছে।গ্রামের ভেতর গাড়ি ঢুকতেই মানুষের দৃষ্টি আমার দিকে। আমি যখন বাড়ির সামনে গাড়ি থেকে নামলাম তখন যে মানুষটা সবার আগে দৌড়ে এসেছিল তাকে আমি চিনি৷ তার হাতে জ্বলন্ত সিগারেট, পড়নে সাদা ধবধবে লুঙ্গি,জ্বলন্ত আগুনের মত চোখ। এই লোকটাকে দেখেছি আমার নিলয়ের গলা চেপে ধরতে৷ আমি তার মাথায় আঘাত করেছিলাম। মদ্যপ এই লোকটাকে প্রায় দেখতাম নিলয়দের বাসায় গিয়ে অসভ্যভাবে গালাগালি করতে। কে এই লোকটা?আমার আগমনে সে এত খুশি কেন?
এইতো ছোটকা। আমাকে নামতে দেখে তিনি ও দৌড়ে এসেছেন। কতদিন পর এই বাড়িতে ফিরলাম। বাড়িটা আগের মত ই আছে। পুরানো স্যাতস্যাতে দালান৷ কিন্তু রঙ করায় আগের চেয়ে সুন্দর লাগছে। আমি একবার ছোটকার দিকে তাকালাম৷ তার মাথার কয়েকটা চুল পেকে গেছে৷ আমি এগিয়ে গিয়ে ছোটকার হাত ধরলাম। ছোটকাকে খুব প্রফুল্ল দেখাচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম
-বড়কা কেমন আছে?
-সে ভালো আছে।
-আমাকে তো বলল তিনি অসুস্থ্য।
ছোটকা কিছু বলেননি। আমি একবার পেছনে তাকালাম। সাদা লুঙ্গি পড়া লোকটি এখনো বাহিরে দাঁড়িয়ে কাকে যেন ধমকাচ্ছেন। এই লোকটা এত ধমকান কেন?
বড়কা সুস্থ্য ই ছিলেন ।আমাকে কেন এমন মিথ্যা বলে আনা হয়েছে সেটা বুঝতে পারছি না ।আমার ঠাই হয়েছে উপর তলায় দাদার ঘরটাতে ।বারান্দা থেকে বিল দেখা যায় ।পেছনের বারান্দা থেকে আম বাগানের ঠান্ডা বাতাসে মন জুড়িয়ে যায় ।দাদা যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন এই ঘরটাতে কেউ ঢুকতে পারেনি ।এত দিন হয়তো তালা ই ছিল ।আমার জন্য কেন খোলতে গেল বুঝে আসছে না
রাতে একটু ও ঘুম হয়নি। বারবার নিলয়ের কথা মনে পড়েছে। কোথায় আছে সে?একবার বলে ও আসতে পারিনি। ওর মায়াতে আচ্ছন্ন হয়ে আছে আমার মন।
খুব ভোরের দিকে একটু ঘুম হয়েছিল। যখন ঘুম ভাঙলো তখন সকালের হালকা আলো আমার ঘরে ঢুকছে। আমি ফ্যান বন্ধ করে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। বারান্দা থেকে আম বাগানের সারি সারি আম গাছ৷ গাছের ফাকে ফাকে কাঁচা পাকা আম। ছেলেদের কোলাহলে বাদিকে তাকিয়ে দেখি আম পাড়া হচ্ছে। আমি আগ্রহ নিয়ে গাছের উপরে তাকিয়ে দেখি নিলয় গাছের উপর চড়ে বসে আছে। একি,নিলয় আমাদের বাড়িতে?দু দিন পর নিলয়কে দেখে যেন প্রাণ ফিরে পেলাম৷ বুকের ভেতরে অপ্রার্থিব এক আনন্দ৷ আমি দৌড়ে নিচে নামার সময় ছোটকার সাথে দেখা ।ওনি আমাকে দ্রুত ছুটতে দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল
-একি! হন্তদন্ত হয়ে ছুটলে কোথায়?
-নিচে যাব৷ আম বাগানে।
-আমি আসব?
আমি আর কিছু না বলেই আম বাগানের দিকে ছুটলাম৷ নিলয় তখনো গাছের উপর। আমাকে দেখে আসে পাশের বাচ্চারা যে যার মত ছুটে গেল।
আমি নিলয়কে ডাকলাম
- এ, কেরে গাছের ডালে?
নিলয় বিস্ময়ে হতবাক হয়ে উচ্ছ্বাসে চেচিয়ে উঠল
-আরে ডক্টর সাব। আপনি বাড়ি আসছেন?
-নিচে নামো৷ দ্রুত
নিলয় গাছ থেকে নেমে আসলো। তার হাতে একটা কাচা আম। সে সেটা আমার হাতে দিয়ে বলল
-নেন,আম খান।
-এই একটা ই পারলে?
-পারতে পারলাম আর কোথায়?আপনি তো নামিয়ে ই দিলেন।
-তুমি এখানে কেন?
নিলয় আমার দিকে তাকিয়ে রহস্যের হাসি হেসে বলল
-বলুন তো কেন?
-এত বছর পর গ্রামে ফিরে সেটা কী করে বলব৷
নিলয় তার প্যান্টের পাশে আমটাকে মুছে কামড় দিয়ে চাবাতে চাবাতে বলল
-পরে বুঝবেন৷ এখন আমি চলে যাব। কাকী বসে আছে।
আমি নিলয়ের হাত টেনে ধরলাম।
-তোমাদের বাসা কোথায়?
নিলয় দু পা এগিয়ে ঠিক আমার পাশে এসে বলল
-খোঁজে বের করুন তো। যদি পারেন,তবে মাইনে পাবেন।
বলেই হনহন করে হেটে গেল। আমি পাশে গাছের নিচের বেঞ্চিতে বসে তারপর বাড়ি গেলাম।
বড়কা সুস্থ্য৷ আমাকে মিথ্যা বলে আনানোর উদ্দেশ্য আমার বিয়ে৷ এবার তারা আমার বিয়ে করিয়ে ই ছাড়বে।
আমি সারা সকাল রুমে ই ছিলাম৷ বড়কাকী দশটার দিকে রুমে আসলো।
আমি সোফায় বসে সাথে নিয়ে আসা একটা বই পড়ছিলাম। ওনার পেছনে সেলোয়ার-কামিজ পড়া বিশ বাইশ বছরের একটা মেয়ে৷ চেহারাটা খুব মিষ্টি৷ আমি কাকীকে দেখে উঠে দাঁড়ালাম৷ কাকী মিষ্টি হেসে পাশের সোফায় বসতে বসতে বলল
-কাল রাতে ই আসতাম। তোমার কাকা দিল না। বলল তুমি বিশ্রাম করবা। বলতো বাজান,পুত্রের কাছে মা আসবে তাতে কি ছেলে ত্যাক্ত হবে?
আমি মুচকি হেসে মাথা নেড়ে বললাম
-কী যে বলুন না৷ কেমন আছেন?
-আর ভালো কোথায়?এত বড় বাড়ি। একলা মানুষ। তোমার কাকারা থাকে ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। মন টিকে না। তাই সুমিকে এনে রাখি৷
আমি সুমির দিকে তাকিয়ে বললাম
-কেমন আছ সুমি?
সুমি লজ্জায় মাথা নেড়ে বুঝালো সে ভাল আছে।
কাকী অনেকক্ষণ ধরে কথা বলল। এই বাড়ির বর্তমান অবস্থা৷ আমি কাকীর সাথে কথা বলছিলাম আর অতীত নিয়ে ভাবছিলাম।
একটা সময় চলে গেছে যখন কাকী আমার মা পাগল এই জন্য দাদা বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল শহরের দিকে৷ সাথে নিয়ে গিয়েছিল বড় কাকাকে। সেটা নিয়ে দাদীর কত আক্ষেপ ছিল। আজ আমার মা,দাদী,দাদা কেউ নেই৷ আজ সে রাজ্যপাট নিয়ে ব্যস্ত৷ জীবন অদ্ভুত নাকি মানুষ সেটা বুঝে আসেনি।
দুপুরে কাকাদের সাথে খেতে বসার সময় বড়কাকা বলল কাল তার সাথে এক জায়গায় যেতে হবে। মেয়ে দেখতে।
আমি না করিনি। যেতে হলে যাব৷ এখন না করে ঝামেলা না বাড়ানো ই ভালো৷
সারাদিন শত কথার মাঝে একটা কথা ভেবেছি নিলয়দের বাসা কোথায়। ছোটকা তো নিলয়কে চিনে,হয়তো ছোটকা বলতে পারবে। কিন্তু তাকে কী করে জিজ্ঞেস করি?
বিকেলে ভাবলাম গ্রামটা ঘুরে দেখি৷ পশ্চিমপাড়া আমার বাল্যকালের কিছু বন্ধু ছিল৷ স্কুল শেষ হওয়ার পর আর কারো সাথে ই যোগাযোগ হয়নি।ভাবলাম সেদিক থেকে ঘুরে আসি।
আমাদের বাড়িতে কাছ করে রজম নামের পনেরো ষোলো বছরের একটা ছেলে৷ ওকে সাথে নিয়ে নিলাম।
গ্রাম বদলে গেছে৷ রাস্তায় মোটামুটি যে দেখেছে অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকেছে। চলতে চলতে রমজানকে জিজ্ঞেস করলাম
-রমজান,নিলয় কে চিন?
রমজান এক গাল হেসে বলল
-নিলয় ভাইরে কে না চিনে। যারে জিগায়বেন হে ই চিনবে।
-ওদের বাড়ি কোনটা?
-যায়বেন?যায়লে আয়েন,লয়া যাই।
-তুমি বলো কোথায়,আমি একা চলে যাব।
-মইধ্যপাড়া মসজিদের পাশে বজলু সরদারের ভাতিজা৷ বললেই দেখিয়ে দিবে।
আমি আনন্দে মুখ টিপে হাসলাম৷ এবার! নিলয় বলেছিল মাইনে দিবে৷ এমন মাইনে চাইব, যা সে ভাবতে ও পারেনি।
রমজানকে বিদেয় করে সন্ধ্যার খানিক আগে নিলয়দের বাড়ির দিকে গেলাম।রাস্তার পাশে বিশাল বড় দুইটা কড়ই গাছ৷ তার পাশে বড় বড় দুটো চৌচালা টিনের ঘর। বাড়ির পেছনে ঘাট বাধা পুকুর৷ পুকুরের অপর পাশে গরুর গোয়াল। একপাশে বিশাল খড়ের গাদা৷
আমি বিনা শব্দে বাড়ির ভেতরে ঢুকতে যাব ঠিক তখন একজন ভদ্র মহিলা বের হয়ে এলো৷ আমি ওনাকে চিনি৷ ওনি নিলয়ের কাকী। আমার জন্য খাবার পাঠিয়েছিলেন। নিলয় যখন অসুস্থ্য ছিল তখন ওনাকে দেখেছি নিলয়ের জন্য ছটফটাতে।
আমি সালাম দিলাম। ওনি এক প্রকার চিৎকার করে ই বলল
-ওরে আল্লাহ! স্মৃতি কন্যার ডাক্তার পোলা আয়ছে৷ ওরে কে কয়, জলদি আয়।
ওনার ব্যস্ততার চেয়ে যে জিনিসটা আমার হৃদয় নাড়িয়ে দিল সেটা হচ্ছে আমার মায়ের নাম। স্মৃতি কন্যা৷ কতকাল পরে আমার মায়ের নামটা শুনেছি। কতকাল পরে কেউ আমাকে স্মৃতিকন্যার ছেলে সম্বোধন করল।
কয়েক জন বের হয়ে এলো। এর মধ্যে নিলয় ও ছিল। আমাকে দেখে বৈদ্যুতিক শক লাগার মত হা করে খানিক তাকিয়ে ছিল। পরক্ষণে দৌড়ে এগিয়ে এসে সোজা হাত ধরে বলল
-আসুন,ভেতরে আসুন।
আমি বাধ্য ছেলের মত নিলয়ের পেছনে পেছনে গেলাম। মনে মনে বিশ্ব জয়ের আনন্দ নিয়ে খুশি হচ্ছি।
অনেকক্ষণ কথা হলো। কথায় কথায় অনেক কিছু জানলাম। নিলয়ের কাকা আমার বড়কার বন্ধু৷ সেই সুবাদে ওদের সাথে আমাদের সম্পর্কটা গভির। নিলয়ের যিনি বাবা তার সাথে ও বড়কার সম্পর্ক ভালো ।আমার মা ছিলেন নিলয়ের কাকীর বান্ধবী ।মায়ের কথা বলতে গিয়ে কাকী কয়েকবার চোখ মুছলেন ।আমার নিজের মনটা ভিজে গেল ।কতদিন পর দেখলাম আমার মায়ের জন্য কেউ চোখের জল ফেলছে। দাদার জীবদ্দশায় কিছু একটা হয়েছিল যে কারনে কাকী আর আমাদের বাসায় যায়নি। আমার তেমন কিছু মনে নেই।
কাকীর সাথে যখন কথা বলছিলাম,নিলয় তখন আমার পাশে বসে মোবাইল টিপছিলো ।আমি লজ্জায় ওর দিকে আর তাকাতে পারিনি।
কথার ফাঁকে ফাঁকে রাত হয়ে গিয়েছিল।রাতে খাবার না খায়ে ছাড়লো না। কারা,কখন রাতের খাবার তৈরি করলো তা বুঝতে পারিনি। খাবার সময় দেখি ডাইনিং টেবিলে হরেক রকম খাবার ।হাঁস,মুরগি,গরু,কয়েক পদের শাক,মাছ। খাবারের বহর দেখে মাথা ঘুরার উপক্রম।
রাত তেমন অধিক হয়নি ।তারপরে ও গ্রামে নিরবতা। নয়টা হবে হয়তো ।কাকীর কাছ থেকে আরেক দিন আসার ওয়াদা করে যখন বের হব তখন দেখি আশেপাশে কোথাও নিলয় নেই ।আমার মন কিঞ্চিৎ খারাপ হলো বটে কিন্তু সেটাকে গুরুত্ব না দিয়ে বের হয়ে কিছুদিন চলতেই মনে হলো'এই যাহ,পথ ভুলে গেছি ।ডান দিকে তিনটে রাস্তা। কোন রাস্তাটা যে পুর্বপাড়ার সেটা ভাবতে ভাবতে এগুতেই দেখি নিলয় দাঁড়িয়ে। স্বর্গ হাতে পাওয়ার মত আনন্দ বলতে যে আসলেই একটা কিছু আছে সেটা উপলব্ধি করলাম ।
বাদিকের রাস্তার মোড়ে একটা বরই গাছ। তার পাশে নিলয় দাঁড়িয়ে ছিল। আমাকে আসতে দেখে লজ্জায় মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি কাছে গিয়ে দাঁড়ানোর পর একবার মুখ তুলে তাকিয়ে আবার নিচু হয়ে গেল ।
-আমার মাইনেটা ?
-কী দিব বলুন তো ।আমি বেচারা দ্বাদশ ফেইল ছাত্র ।
আমি নিলয়ের হাত ধরলাম। নিলয় আমার দিকে তাকালো ।আমি ওর চোখের দিকে তাকালাম। জগতের সবচেয়ে শান্তিময় দুটি চোখ ।আমার মনে হলো আমি সারা জীবন এভাবে তাকিয়ে থাকতে পারব। এই অপূর্ব স্নিগ্ধময় রাতে,অমাবস্যার অন্ধকারে সে যে দীপ্ত ছড়িয়ে রেখেছে তাতে আমার জীবন আলোকিত হয়ে যাচ্ছে ।আমি ওর চোখে আলতো করে চুমু খেলাম ।নিলয় অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।আমি আবার ওর কপালে চুমু খেলাম। নিলয় আকস্মিক আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ।আমি আনন্দে ওকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললাম
-নিলয়,আমার মাইনেটা দিলে না ।
নিলয় নিশ্চুপ ।আমার কেন জানি মনে হল নিলয় কাঁদছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম
-কী হয়েছে নিলয়?বলো
নিলয় কিছু বলেনি। আমাকে অবাক করে দিয়ে চলে গেল ।আমার মন অজানা এক ভয়ে কেঁপে উঠলো ।আমার নিলয়,আজো তাকে বলতে পারিনি যে তাকে আমি ভালোবাসি ।তার আবেগে আমি আবেগী,তার কামনায় কামুক ।
.........(চলবে)
অসাধারণ! আপনার শূন্যস্থান আর অমাবশ্যার চাঁদ গল্প দিয়ে ইজিলি একটা ফিল্ম বানানো সম্ভব! Take love 💖
ReplyDeleteপ্রিয় পাঠক,পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ReplyDeleteভাইয়া প্লিজ আপনি পনেরো দিন পর পর আপডেট দিন! এত দিন wait করাইয়েন না😣
Deleteগল্পের নেক্সট পার্ট কবে আসবে?
ReplyDeleteদু একদিনের মধ্যে
ReplyDelete