সুর্যের কাল
লিখেছেনঃ আরভান শান আরাফ
আমি রোদ্রের ১২ মিনিটের বড়। আমাদের জন্ম আষাঢ়ের ১৪তারিখ সকালে। আমার জন্মের পর সবাই যখন আমায় নিয়েব্যস্ত এর ঠিক বার মিনিট পর আমার মায়ের কোলে আমারজমজ ভাই রোদ্রের আগমন। আমাদের জন্মের চার দিন আগহতে রোদ্রের দেখা নেই। মেঘে মেঘে কাটছিল দিন। কিন্তু যেইরোদ্রের জন্ম হল সে ই আকাশ ফাটিয়ে রোদ্র উঠল। ডাক্তারচাচা কপালের ঘাম মুছতে মুছতে বাবাকে বলল,দুলাল মিয়াতোমার ভাগ্য ভাল জমজ সন্তান হয়ছে। বাবা রোদ্রকে কোলেনিতে নিতে বলল, এই ছেলে অনেক ভাগ্যবান। তার নামরাখলাম রোদ্র। অবশ্য পরে রোদ্রের রোদ্র নাম টিকেনি। কারনরোদ্রের সাথে মিলিয়ে আমার কোন নাম পাওয়া যাচ্ছিল না।তাই, আমার নাম হল শুভ আর ওর নাম ধ্রুব । বাবা ধ্রুবকেরোদ্র ই ডাকতো। আর আমি ও রোদ্র নামেই তাকে ডাকতাম।
আমি আর রোদ্র ছিলাম জমজ কিন্তু আমাদের মাঝে কোনমিল ছিল না। না ছিল সোন্দর্যের মিল না ব্যবহারের। শুধুমনের একটা মিল ছিল। আর সেই মিলটাই আমাদের ভাইথেকে বন্ধু তে পরিনত করেছিল। আমার গায়ের রং ছিল কাল,ঠোট মোটা,আর রাগী চেহারা। অন্যদিকে রোদ্রের গায়ের রংছিল, ফর্সা।সরু নাক আর ঘন কুকড়ানো চুল। রোদ্রের চোখদুটিতে ছিল রাজ্যের মায়া। ভদ্রতা আর ভালবাসায় তার চোখচিকচিক করতো। মাঝে মাঝে আমি ভাবতাম রোদ্র এত সুন্দরহল কেন? একটু কম সুন্দর হলে হয়তো ভাল হত। এই তোগেল এই কথা। পড়াশোনাতে ও রোদ্র ছিল আমার থেকে ভাল।ক্লাসের টিচাররা তাকে এত পছন্দ করতো যে আমার মনে হত,আমার তার জমজ ভাই হয়ে কোন লাভ হয়নি। লাভ অবশ্যহত। রোদ্রের হাত খরচ, কাপড় বেশি আমি ই ব্যবহার করতাম।আর পরীক্ষায় ওর খাতা হতে না দেখে লিখলে যে, বাবারঠেংগানী খেতে হত ফেইল করে তা ও কম কি?
আমাদের তখন কৈশরকাল। দাড়ি মোছ গজাচ্ছে। হাতে, বুকেআর গালে পশমের ছড়াছড়ি। তা নিয়ে আমাদের মধ্যে যতেষ্টবিব্রতবোধ। পড়ি তখন ক্লাস এইটে। সঙ্গ আমার আমার ভালছিল না। ক্লাসের খারাপ ছেলেদের সাথে মেশা,রাত করে বাড়িফেরার অভ্যাস করে ফেলছিলাম। রোদ্র আমাকে শোধরাতেব্যাস্ত ছিল। কিন্তু সেই সময় ওকে তেমন পাত্তা টাত্তা দিতাম না।মনে হত ঝামেলা। সেইবার, হঠাৎ করেই সিগারেট ফোকারইচ্ছে হল। রাতে খাব, যখন রোদ্র আর সবাই ঘুমিয়ে পড়বেতখন। সেই পরিকল্পনা করে দুটো সিগারেট এনে পড়ারটেবিলের ড্রয়ারে রাখলাম সন্ধার দিকে। রাতে আমি বাড়িফিরছি। রোদ্র তখন বাড়িতে। ঘরে ঢুকতেই বাবা ডেকেপাঠাল। ভয়ে আত্মা শুকিয়ে গেল, যা ভেবেছিলাম তাই হলবাবা সিগারেট পেয়ে গেছে। রাগে বাবা অগ্নিরুপ ধারন করল।মনে মনে ইশ্বরকে ডাকতে লাগলাম।সেই দিন রোদ্র আমায়বাঁচাল। সম্পুর্ন দোষটা তার মাথায় নিয়ে নিল। আমায় টুশব্দটা ও করতে দিল না। ঘর থেকে ছুটে এসে আমার পাশেদাঁড়িয়ে বলল, বাবা ঐটা আমার। নাহিদ চাচ্চুর জন্যেএনেছিলাম। দিতে মনে নেই। বাবা বিশ্বাস করল রোদ্রের কথা।হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। বেঁচে গেলাম বাবার মারের হাত হতে।
রোদ্র এমনি, সবার জন্যে দাঁড়িয়ে যাবে। কাউকে কষ্ট পেতেদিবে না। যত সোন্দর্য তার দেহে ছিল তার চেয়ে বেশি সৌন্দর্যছিল তার মনে। এই তো আমি আর রোদ্র আঠারো বছর একসাথে ছিলাম। একি মায়ের গর্ভজাত ভাই ছিলাম। বড় হয়েছি,এক সাথে কিন্তু কোন দিন সে আমায় কষ্ট দেয়নি। ভালবাসতোরোদ্র তার দাদা কে। হ্যা। রোদ্র সমকামী ছিল। আমি তাজানতাম না। জানবোই কি করে?
কলেজে ভর্তি হলাম। সবাই ব্যস্ত একটা মেয়ে বন্ধু জুটিয়েনিতে। আমি ও তার ব্যতিক্রম নয়, ব্যতিক্রম রোদ্র। আমি প্রেমেপড়লাম নীলুর। শান্ত আর সুনয়না মেয়ে। কিন্তু নীলু আমায়পাত্তাও দিল না। পরে শুনলাম সে নাকি রোদ্রকে পছন্দ করে।রাতে শুয়ার সময় রোদ্রকে জিজ্ঞেস করলাম,
- তুই নীলুকে পছন্দ করিস রোদ্র?
- নাতো। আমি কেন পছন্দ করতে যাব?
- সে তো তোকে পছন্দ করে।
- সেটা তার সমস্যা।
- তুই সত্যি বলছিস?
- হু।
- আমার দিকে তাকিয়ে বল।
- এই তাকালাম। দা ঘুমাতো। সকালে ঊঠতে হবে।
রোদ্র মিথ্যা বলতো না। নীলুকে সে পছন্দ করে না তা সত্যছিল। কিন্তু, আমার কোথায় যেন মনে হচ্ছিল, রোদ্র প্রেমেপড়েছে। কিন্তু কে সেটা?
প্রতিদিন বিকালে আমি বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বের হতাম। রোদ্রমাঝে মাঝে যেত মাঝে মাঝে যেত না। ঐদিন দুপুরের খাওয়ারপর সে বই নিয়ে ছাদে গেল না রোজকার মত। প্যান্ট টিশার্টপড়ে ঘর হতে বের হয়ে গেল। আমি তখন টিভির সামনে। খুবঅবাক হলাম। রোদ্র তো আমায় না বলে কোথাও যায় না।তাহলে আজ কোথায় যাচ্ছে? মাকে ও বলে যায়নি।। ফোন ওনিয়ে যায়নি। আমি অবাক হলাম।।
বিকালে বের হলাম। সাথে দু তিন জন বন্ধু। কথা বলতে বলতেহাঁটছিলাম। হঠাৎ দৃষ্টি আটকে গেল, রাস্তার ডান পাশে, একটুদুরে একটা দীঘী আছে। লোকে বলে সোনা পুকুর। তারচারপাশটা কদম গাছে ঘেরা। বসে থাকার চমৎকার জায়গা।আমার চোখ আটকে গেল রোদ্রকে দেখে। সে বসে আছে।তার পাশে তমাল । আমাদের পাড়ার না। অন্য পাড়ার।ভার্সিটির প্রফেসার।
অল্প বয়সে প্রফেসার হয়ে গেছে।চোখে চশমা। দেখলে মনে হয়কলেজে পড়ে।ভেবে পেলাম না তমাল ভায়ের সাথে রোদ্রেরকিসের এত ঘনিষ্টতা। একেবারে হাতে হাত রেখে কথা বলতেহয়। রোদ্রের চোখ মোখে আনন্দ চিকচিক করছিল। আমিদেখে মুগ্ধ। অনেক দিন ধরে আমার ভায়ের চোখে এত সুখদেখি নাই।
আমি বাড়ি ফিরি রাতে।বাড়ি ফিরে দেখি রোদ্র বই নিয়ে বসেআছে। আমাকে রুমে ঢুকতে দেখে একটু মুচকি হেসে আবারপড়তে লাগল। আমি কিছু জিজ্ঞেস না করেই বের হয়েগেলাম। রাত্রে ঘুমানোর সময় সব জেনে নিতে হবে। এত কিকথা যা রোদ্র চেপে যাচ্ছে। খাবার টেবিলেও কোন কথাবললাম না রোদ্রের সাথে। সে অনেক কথা বলেছে। আমি নাশুনার ভান, করে খেয়ে ওঠে এসেছি। অভিমান না করলে রোদ্রকিছুই বলবে না নিশ্চিত। আমি চিনি সে কেমন। শুয়ে শুয়েরোদ্রের অপেক্ষা করছি। সে ঘরে আসুক তখন ধরা যাবে।রোদ্র ঘরে ঢুকল একটু দেরিতে। আমার পাশে শুয়ে বলল,
- দা ঘুমিয়ে গেছ?
- না।
- মন খারাপ তোমার? কোন কথা বলছ না?
- না।
- রাগ করেছ??
- বিকালে কোথায় ছিলি?
- সোনা দীঘির পাড়।
- কার সাথে??
- এত জেরা কেন করছ??
- বল, কার সাথে?
- তমাল ভায়ের সাথে?
- ওনার সাথে তোর কিসের সম্পর্ক?
- সম্পর্ক!!কি বলছ যে তুমি পাগলের মত!
আমি রোদ্রের দিকে তাকালাম, তাকে চিন্তিত মনে হচ্ছে। ঘুমচিন্তিত। সে কি চিন্তা করছে এত? রাতে আমার ঘুম হল না।বারবার রোদ্রকে দেখলাম, সে হঠৎ পাল্টে যাচ্ছে কেন?
ঐদিন কলেজ হতে ফিরছিলাম। কলেজের ডান দিকে একটাক্যান্টিন ছিল। নোংরা ক্যান্টিন। সারা দিন কলেজের বাজেছেলেদের আড্ডা থাকে। আমি আর রোদ্র কেউ কোন দিনঐখানে বসি না। কেউ ই বসে না। ঐদিন হঠাৎ করেই রোদ্র ঐক্যান্টিনে ঢুকে গেল। আমি দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম, আমাকেপাশ কাটিয়ে রোদ্র ঢুকে গেল। আমি অবাক হয়ে রইলাম,ঢুকতেই দেখি তমাল ভাই তার সাথে। রোদ্রকে দেখে আমিঅবাক হলাম। বাড়ি ফিরে তাকে, কিছু জিজ্ঞেস করলাম না।ভেবে পাচ্ছিলাম না রোদ্র এত পাল্টে যাচ্ছে কেন?
দিন গুলো চলে যাচ্ছিল আর রোদ্র পাল্টে যাচ্ছিল। খুব পাল্টেযাচ্ছিল সে। চুপচাপ থাকতো, আমার সাথে আগ বাড়িয়েকোন কথা বলতো না। কিছু জানতে চাইলে, হু হ্যা বলে উত্তরদিত। সারা দিন বই নিয়ে বসে থাকতো। আগের মত দা এটালাগবে, ও টা লাগবে বলে আমায় বাজারে পাঠাত না। রাতজেগে ডায়রিতে লিখতো। কি লিখতো সে? জানার ইচ্ছেথাকলে ও জানতে পারতাম না। ক্লাসে চুপচাপ বসে থাকতো।সবার সাথে মিশত না। কেন এত পাল্টে যাচ্ছে, রোদ্র? এই তোওর মাত্র আঠারো বছর হল। এত বিষন্নতা কেন ওর?
একদিন, খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে গেল। বিছানায় শুয়ে না থেকেভাবলাম বাহিরে একটু হাটি। বের হতেই দেখি রোদ্র, সাদাপাঞ্জেবী গায়ে হাঁঠছে। ওকে খুব মানিয়েছে। আমার বুকটা দককরে ওঠল। আমার ভাইটি এত সুন্দর কেন? কাছে যেতেই,রোদ্র তাকাল আমার দিকে। আহা তার চোখে কত বিষন্নতা।
- তুই এত ভোরে উঠলি ।
- আমি তো রোজ ই ওঠি। তুমি এর ভোরে কেন দা?
- ঘুম ভেঙ্গে গেল তাই।
- অনেক কথা হল। অনেক দিন পর।
- হু। তুই চাস না তাই।
- চাইব না কেন?
- তোর তমাল ভাই আছে তাই।
রোদ্র হেসে দিল। তার হাসি কিশোরী মেয়েদের হাসির মতঝনঝন করে উঠল। আহা কত দিন পর ভাই আমার হাসল।আমি রোদ্রের দিকে তাকিয়ে, বললাম,
- তুই এত বিষন্ন থাকিস কেন বলতো ভাই?
- দা তুকে একটা কথা বলি, শুনবি?
- বল।
- আমি ভিতরে ভিতরে মরে যাচ্ছি।
- রোদ্র! কি বলছিস তুই? খুলে বল আমায়।
- রোদ্র কিছু বলল না। চলে গেল, আমি তার কষ্টটা ঠিকবুঝতে পারছিলাম না।
এর কিছু দিন পর, মাঝ রাতে জেগে দেখি রোদ্র বারান্দায়দাঁড়িয়ে। আমি ঊঠে বাতি জ্বালিয়ে রোদ্রের কাছে যেতেই দেখিরোদ্রের চোখে পানি। ও কাঁদছিল। আমি রোদ্রকে জিজ্ঞেসকরলাম, সে কাঁদছে কেন। রোদ্র কিছু বলতে চেয়েও আবারকেঁদে ওঠল। রোদ্র অনেক কষ্টে, কান্না চেপে বলল,
- দা তমাল পি এইচ ডি করতে আমেরিকা যাচ্ছে।
- তাতে তুই কাঁদিস কেন?
- আমি ভালবাসি তাকে। তাকে ছাড়া থাকতে পারব না আমি।
- মানে? কি বলছিস পাগলের মত, তুই কি গে?
- হ্যা, দা আমি গে। আর এখানেই আমার কষ্ট।
- চুপ কর রোদ্র। এটা তুই কি বলছিস?
সারা রাত আমার এক ফোঁটু ঘুম হল না। কি বলল রোদ্র? ওগে? আমার ভাই। এক সাথে জন্ম নিয়ে বড় হয়েছি। এই ছেলেএত আলাদা? কেমনে হল? কোন কু সঙ্গ তো ওর ছিল না।পবিত্রতায় ভরা ছিল ওর মন, ওর অন্তর আত্মা। কেন এমনহল?
রোদ্রের মুখটা ছোট হয়ে গেল। চোখের নিচে কাল দাগ পড়ল।ভালবাসার মানুষকে ছেড়ে থাকার কষ্ট এত বেশি আমি ভাবতেপারি নি। বুঝতে পারতাম, রোদ্র সারা রাত একটু ঘুমাতে পারতনা। যেই একটু ঘুমাতো, দুঃস্বপ্ন দেখে কেঁদে ওঠত । ওর কষ্টআমার হৃদয়ের মর্মে গিয়ে বাজত। প্রায় পাঁচ থেকে ছয় দিনরোদ্রের সাথে আমি কথা বলতে পারেনি। বাস্তবতাটা মেনেনিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। রোদ্র কলেজে যেত না। সারা দিন ঘরেবসে থাকতো। আমি দিশেহারা। কি করতে পারি আমারভাইয়ের জন্য?
তমাল ভায়ের সাথে কথা বললাম। যা দেখলাম তাতে মনে হল,রোদ্রের চেয়ে তমাল ভাইয়ের অবস্থা খারাপ। এই লোক এতভালবাসল কেমনে আমার ভাইটিকে। হাতে আছে সাত দিন।তমাল ভাই চায়ছিল রোদ্রকে তার সাথে নিয়ে যেতে, কিন্তুআমাদের পরিবার মেনে নিবে না বলে রোদ্র মানা করল।পাসপোর্ট চাইলো রোদ্রের। রোদ্র দিল না। তাই বলে আমিথেমে থাকতে পারি না। আমার ভাইয়ের কষ্ট সহ্য করা আমারপক্ষে সম্ভব না। যা করার আমি ই করলাম । ভালবাসাভালবাসা ই। তার কোন লিঙ্গ অথবা প্রকার হয় না।
তারপর একদিন, নিজ হাতে ভাইয়ের ব্যাগ গোছালাম, আরভাইকে খুব ভোরে ডেকে তুলে সোজা বিমানবন্দরে। রোদ্রঅবাক। তাকে আমি কিছুই জানায়নি। জানায়নি, পরিবারেরকাউকে। তমাল ভাই বসে ছিল। রোদ্রকে দেখে ওঠে দাঁড়াল।অনেক দিনপর তাকে দেখে হয়তো সে চমকে উঠল। হৃদয়েরসবটা ভালবাসা দিয়ে রোদ্রকে জড়িয়ে ধরল। সুখে অথবাদুঃখে আমার চোখে জল।
রোদ্র চলে গেল। তার সুখের সন্ধানে। দীর্ঘ আঠারো বছর দুভাই এক সাথে ছিলাম। আমার সব ঝড় ওর মাথায় পেতেনিয়েছে। তাই, আমি ওর সুখটা পৌছে দিলাম।
গত কাল রোদ্রের ফোন এসেছিল। আনন্দে ওর গলা ভারি হয়েওঠছিল। আমেরিকায়, তাদের বিয়ের বৈধতা দিয়েছে। তারাবিয়ে করবে। আমাকে ও বিয়ের সাজেশন দিচ্ছিল। দু ভাইএক দিনে বিয়ে করব। হোক না ভিন্ন লিঙ্গের। ভালবাসা তোআর লিঙ্গভেদে হয় না। রোদ্র সুখে আছে। ও সুখে থাকুক।আমিও সুখে আছি। মাঝে মাঝে মাঝ রাতে ওকে মনে পরে।বাবা আজকাল, রোদ্রের কথা খুব বলে। হয়তো, রাগ কমেছে তার উপর থেকে। ওদের বিয়ে হয়ে গেলে একবার দেশেআসতে বলব। তারপর দু ভাই আবার নদীর তীরে হাটব। রোদ্রঅল্প হেঁটেই, থমকে দাঁড়িয়ে যাবে, আর বলবে, দা দেখ কতসুন্দর ফিঙ্গে পাখি।
সুর্যের কাল
Reviewed by সমপ্রেমের গল্প
on
February 21, 2019
Rating:
অসাধারণ ভাই গল্পটা।
ReplyDeleteযোগাযোগ করতে চাই আপনার সাথে